Curd
দই
(English and Bengali both languages are available)
দই শুধু খেতেই মজাদার নয়, এটি স্বাস্থ্যকর খাবার ও বটে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে অনেকের শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে শুধু তাই নয় এই সময় হিটস্ট্রোকের সমস্যাও বেশি দেখা দেয় আর এ কারণে এ সময় সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল পান করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তরল খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া গরমে দই খেলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই দই খাওয়ার চল আছে। আমরা জানি দই দুধ থেকে তৈরি হয়। যাদের দুধ হজম করতে অসুবিধে হয়, বা দুধ থেকে এলার্জি হয়, তারা দুধের বদলে দই খেতেই পারেন। পুষ্টিকর খাওয়ার মধ্যে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার।দুই রকমের দই আমরা সাধারণত বানিয়ে থাকি। টক দই এবং মিষ্টি দই। যদিও দুই ধরনের দই মানুষ পছন্দ করে থাকে তাও বলা যায় যে টক দই কিন্তু বেশী উপকারী মিষ্টি দইয়ের থেকে।
টক দই খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়।এতে রয়েছে নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে। তাছাড়া দই এ রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। তাই নিয়মত দই খেতে পারেন।
চলুন জেনে নেই প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা ----
১) রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় --
দইয়ে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তুলে যে কোন রকম সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কিছুই কাছে আস্তে পারে না। ফলে শরীর সুস্থ ও সবল হয়ে উঠে।
২)হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে -
অনেকেই হজমের সমস্যার কারণে দুধ খেতে পারেন না কিন্তু দই খেলে সমস্যা হয় না। খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে দই। দইয়ের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে। বেশি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন। সেই কারণেই চিকিৎসকেরা বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৩)ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে -
আমাদের শরীরের চর্বি আমাদের মোটা করার সাথে সাথে অনেক অসুখ ও ডেকে আনে। কর্টিসল নামক এক ধরনের হরমোন আমাদের স্থূলতা বাড়ায়। দই কিন্তু এর থেকে আমাদের রক্ষা করে। দইয়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে যা কর্টিসলের ভারসাম্যকে বজায় রাখে। ফলে আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪)দাঁত ও হাড় মজবুত করে-
দুধের মতো দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। যা দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।তাই বুড়ো বয়সে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত দই খেতে হবে।
৫)ছোট বাচ্চাদের জন্য দই খাওয়া খুবই উপকারী
বাচ্চাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল থাকে। সহজেই তারা সব খাবার খেয়ে হজম করতে পারে না। দই কিন্তু এমনই একটি খাদ্য যা সহজে বাচ্চারাও হজম করতে পারে। দই এর মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে যা বাচ্চাদের নরম হাড়কে শক্ত বানায় আর বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দইয়ে যে প্রোটিন থাকে তা সহজেই বাচ্চারা হজম করতে পারে। তাই দই বাচ্চাদের জন্যও খুবই প্রয়োজনী।
৬)চাপ ও উদ্বেগ কমায় -
গবেষণায় দেখা গেছে, দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
৭)রক্তচাপ কমায়-
দইয়ের পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৮)ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে ও ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে। দইয়ে পরিমাণমতো বেসন ও অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। দইয়ে থাকা জিঙ্ক, ভিটামিন ই ও ফসফরাস এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পলন করে থাকে।
সতর্কতা
দই পাতার পরে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে। কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনও উপকার হয় না। তাই বাড়িতে পাতা টক দই খাওয়াই ভালো।
আরও জানতে 👉 আখের রসের উপকারিতা
English
Curd is not only tasty to eat, but it is also healthy food. Not only can dehydration occur in many people in the scorching heat of summer, but also the problem of heatstroke is more common at this time and for this reason, it is necessary to drink enough water as well as eat a variety of liquid food to stay healthy at this time. Besides, there are many benefits of eating Curd in hot weather. There is no substitute for Curd to maintain good health.
Curd is eaten almost everywhere in the world. We know that yogurt is made from milk. Those who have difficulty digesting milk, or are allergic to milk, can eat Curd instead of milk. Curd is a healthy and nutritious food. We usually make two types of Curd. Sour Curd and sweet Curd. Although people prefer two types of Curd, it can be said that sour Curd is more beneficial than sweet Curd.
There are many benefits of eating sour Curd. It contains various beneficial bacteria which are very useful for our body. In addition, Curd contains calcium, vitamin B-2, vitamin B-12, magnesium and potassium. So you can eat Curd regularly.
Let's know The benefits of eating Curd every day----
1) Increases immunity -
Once the beneficial bacteria present in the Curd have entered the body, it strengthens the immune system so much that viral fever from any kind of infection can do nothing. As a result, the body becomes healthy and strong.
2) Improves digestion -
Many people cannot eat milk due to digestive problems but they eat Curd does not cause any problems. Curd helps in the easy digestion of food. The beneficial bacteria in Curd help in digestion and eliminates stomach problems. More studies have shown that Curd contains ingredients that play a key role in increasing the number of good bacteria that help digestion in the stomach. That's why doctors recommend eating Curd to reduce indigestion.
3) Helps to control weight -
Our body fat makes us fat and brings many diseases. A type of hormone called cortisol increases our obesity. But Curd protects us from it. Curd contains calcium which maintains the balance of cortisol. As a result, our body weight is under control.
4) Strengthens teeth and bones-
Like milk, Curd also contains a lot of phosphorus and calcium. Which helps to strengthen the teeth and bones. So if you want to avoid getting diseases like osteoarthritis in old age, you have to eat Curd regularly.
5) Eating Curd is very beneficial for young children-
Children's digestive system is weak. They cannot easily digest all the food they eat. Curd is a food that can be easily digested by children. Curd contains calcium which strengthens the soft bones of children and helps them to grow. The protein in Curd can be easily digested by children. So Curd is very necessary for children.
6) Reduces stress and anxiety -
Studies have shown that after eating Curd, some changes take place in our brain which helps in reducing stress and anxiety.
7) Reduces blood pressure -
Potassium in Curd helps in lowering blood pressure.
8) Increases the beauty of the skin -
The ingredients in Curd smooth the skin and protect the skin's moisture. The lactic acid in Curd cleanses the skin and removes dead cells. If you can mix a small amount of flour and a little bit of lemon juice and apply it to the face, then there is no need to worry about the skin. Zinc, Vitamin E and Phosphorus in Curd play a special role in this regard.
Awareness:
After making the curd If you keep it out more than 24 hours then it can lose its nutritional value. There is no benefit in eating artificially flavored curd.
0 Comments
Thanks for comments.