EGO- ইগো
(English and Bengali both languages are available)
রাহুল ও এলিনা কষ্ট পেলে ও নিজের ইগোর কাছে কেউ হার মানবে না।মা, বাবা বন্ধুরা সবাই ওদের বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু কিছুই লাভ হল না। ..............
তখন রাহুল ও এলিনার মা ও বাবারা মিলে ঠিক করল রাহুল বাড়ি ফেরার আগেই ওদের না জানিয়ে বিয়ে টা ঠিক করে ফেলবে। একবার বিয়েটা হয়ে গেলে কারো আর ইগো থাকবেনা। কারণ ওদের মা বাবা ও বুঝতে পেরেছিল ওরা দুজন দুজন কে ভালবাসে। কিন্তু এই ইগোর জন্যে ওদের এই ঝগড়া। তাই এলিনার বাবা মেয়েকে বলল তুই রাহুল কে বিয়ে না করিস ঠিক আছে কিন্তু বিয়ে তো করতে হবে আমাদের ও বয়স হচ্ছে। তুর কাকা একটা ভাল সমন্ধ এনেছে একবার ছেলেটার সাথে কথা বলে নে। এলিনা বলল কথা বলার দরকার নেই তুমি যেখানে বিয়ে ঠিক করবে আমই সেখানেই করব। এই দিকে রাহুল ও তার মা বাবাকে বলল সে ও বিয়ে করবে না কিন্তু তার মা বাবা তাকে জোর করে বিয়ের জন্য রাজি করায়। রাহুল বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহ পরেই ওদের বিয়ের তারিখ ঠিক হল। তাই রাহুলের মা বাবা তাকে বলল চল মেয়েটাকে একবার দেখে আসবি। যাকে বিয়ে করবি তাকে তো একবার দেখা দরকার। রাহুল তার মাকে বলল আমার দেখার দরকার নেই, তোমরা দেখলেই হবে। রাহুল অনেকবার চেষ্টা করল এলিনা কে ফোন করার কিন্তু সে নিজের ইগোর কাছে হেরে গেল।
শেষে রাহুল ঠিক করল সে তার বন্ধুদের সাথে গিয়ে একবার বিয়ের আগে এলিনার সাথে শেষ কথা বলে আসবে। রাহুলের মা ও তাতে আপত্তি জানাল না। রাহুল বিয়ের দুদিন আগে এলিনার সাথে দেখা করতে এল। এলিনা রাহুল কে দেখে অন্য ঘরে চলে গেল। এলিনার মা রাহুল কে এলিনার বিয়ের কথা জানাল। রাহুল ভাবতে ও পারছিল না এলিনা তাকে না জানিয়ে বিয়ে করে নেবে। তাও সে এলিনার সাথে শেষ কথা বলবে বলে এলিনার ঘরে গেল। রাহুল ঘরে ডুকে দেখতে পেল এলিনা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। সে এলিনা কে বলল বিয়ে করছ একবার তো জানাতে পারতে।
এলিনা কিছু ই বলল না ওর দুচোখ জলে ভরে গেছে গলাটা ও ভারি হয়ে এসেছে। রাহুল এলিনাকে এই অবস্থায় দেখে বুঝতে পারল ওরা যে ভুল করেছে। হয়ত এলিনা কে একটা ফোন করলে আজ সবকিছু অন্য রকম হত। রাহুল এলিনা কে সরি বলল। সে আর ও বলল জা হয়েছে ভুলে জাও আমি সব ঠিক করে দেব। আমি এখনই আমার মা বাবা ও তোমার মা বাবার সাথে কথা বলব। সব ঠিক হয়ে যাবে। এলিনা বলল না আর তা হয় না আমাদের জন্যে মা বাবার সন্মান হানি হবে আমি তা চাই না। রাহুল তখন নিজের বিয়ের কথা ও এলিনা কে বলল। এলিনা শুনে বলল ভাল ই হয়েছে আশা করি তোমার স্ত্রী তোমাকে খুব ভাল রাখবে।
রাহুল মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরল। রাহুলের মা রাহুল কে এলিনার কথা জিজ্ঞাসা করল কিন্তু রাহুল কিছু উত্তর দিল না। সেই রাতে আবার এলিনাকে ফোন করল। এলিনা ফোনটা ধরে প্রথমে রাহুলের কাছে আবার মাপ চাইল আর তাকে ভাল থাকতে বলল। আর কিছুই বলতে পারছিল না শুধু চোখ দিয়ে জল ঝরছিল। দুজনের বাড়িতেই বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু ওরা দুজনই বলেছিল ঘটা করে বিয়ে করবে না। তাই তাদের মা বাবা ও ঠিক করেছিল কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে কোর্ট এ গিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলবে। তারপর রাহুল ও এলিনার সম্মতি পেলে বড় করে পার্টি দেওয়া হবে।
পরের দিন সকালে ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষ উভয়ে কোর্ট এ হাজির। দুজন দুজনকে দেখে ওদের যেন কিছু বিশ্বাসই হচ্ছিল না।
তবে সবাই তো রাহুল ও এলিনার মা, বাবার মত হয় না। কারণ সব মা, বাবাই চায় তাদের ছেলে মেয়ে যেন ভাল থাকে। তাই ছেলের মা, বাবা কখনো চায় না তার ছেলে রাগি হলেও, কোন রাগি মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে, তেমনি মেয়ের মা বাবা ও চায় না তার মেয়েকে এমন কোন ছেলের হাতে তোলে দিতে যে বিয়ের আগেই মেয়েকে এত কষ্ট দেয় সেই ছেলে কি করে তার মেয়েকে ভাল রাখবে। তাই সম্পর্ক গড়া যেমন কঠিন তেমনি সেই সম্পর্ককে ঠিকঠাক ভাবে ধরে রাখা আরও কঠিন। তাই ইগোকে যতটা দুরে রাখা যায় ততটাই মানুষের জীবন সুখী হয়।
EGO-3rd-part
English
Mom, Dad, and their friends all tried to convince them but to no avail................
Then Rahul's and Elena's mother and father decided together that they would fix their marriage without informing them. Once the marriage is over, no one will have an ego. Because their parents also understood they both love to each other. But Igo is the main reason for their misunderstanding. So Elena's father said to his daughter, "It's okay if you don't marry Rahul, but we have to get married and we are getting older." Your uncle gives me the information about a boy who will be perfect for you. If you wish you will talk to that boy before marriage. Elena said no need to talk, I will marry wherever you decide. Rahul told his parents he would not marry but his parents forced him to marry. A week after Rahul returned home, their wedding date was fixed. So Rahul's parents told him to come and see the girl once. Whom he will marry. Rahul told his mother that doesn't need to see. Rahul tried many times to call Elena but he lost to his Igo.
In the end, Rahul decided to go to Elena's house with his friends and talk to Elena once before the wedding. Rahul's mother did not objection him. Rahul came to meet Elena two days before the wedding. Elena saw Rahul and went to another room. Elena's mother told Rahul about Elena's marriage. Rahul couldn't think that Elena would marry without informing him. He wants to talk to Elena. Rahul enters the room and saw Elena was standing by the window. He told Elena that Why didn't you tell me about your marriage. Elena didn't say anything. Her eyes were full of water and her throat was heavy. Seeing Rahul Elena in this condition, he realized that they had made a mistake. Maybe if Rahul had called Elena that day, everything would have been different. Rahul apologized to Elena. He said, "Forget it, I'll fix it." I will talk to my your parents now. Then everything will be fine. Elena said no and it doesn't happen. We don't want our parents to lose their honor. I don't want that. Rahul then told Elena about his marriage. Elena heard and said it was good. I hope your wife will take care of you very well.
Rahul returned home upset. Rahul's mother asked Rahul about Elena but Rahul did not answer. He called Elena again that night. Elena picked up the phone and first asked Rahul for forgiveness and told him to stay well. She couldn't say anything else, only tears were flowing from her eyes. So their parents decided that after the marriage of Rahul and Elena was completed in the court, the party would be given with their consent.
The next morning, both the boy and the girl appeared in court. Seeing the two of them, it was as if they couldn't believe it.
However, not everyone is like Rahul and Elena's mother and father. Because all mothers and fathers want their children to be happy in the future. So the son's mother and father never want to marry their son to an angry girl Even though their son is hot-tempered. Like them, the girl's parents do not want to hand over their daughter to a boy who hurts her so much before marriage.
It is difficult to build a relationship, but it is even more difficult to maintain it properly. So as far as the ego can be kept, human life is happy.
0 Comments
Thanks for comments.