অপেক্ষা-5thpart
সানভীর অপেক্ষা
☝
কেনাকাটা প্রায় শেষ এবার বাড়ি ফিরবে এমন সময় রাহুলের সাথে দেখা। রাহুল কে দেখে সানভী চমকে উঠল।
রাহুল যেখানে চাকরি করে সেখানে সুনীল নামে একটি ছেলের সাথে তার খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়। আজ ৫ বছর পর সেই বন্ধুর সাথে তার নিজের শহরে ফিরল। রাহুল সানভীর সাথে সুনীলের পরিচয় করিয়ে দেয়। ...............
সানভী ভাবতেও পারেনি এবার রাহুলের সাথে তার দেখা হবে। রাহুল সানভী কে বলল অনেকদিন পর দেখা হল চল রাস্তায় কথা না বলে সামনে ক্যাফে টাতে বসে কথা বলি। সানভী প্রথম ভাবল রাহুলের সাথে আর কথা বলবে না কিন্তু ওর যে অনেক কথা জানার ছিল।
রাহুলঃ সানভীর হাতে বাচ্চাদের জামার ব্যাগ দেখে বলল ছেলেমেয়েদের জন্যে জামা কিনতে বেড়িয়েছিলে?
সানভীঃ কিছু বলল না।
রাহুলঃ চাকরিটা এখন ও করছ? স্বামী কি করেন?
সানভীঃ একটু চুপ থেকে বলল প্রিয়া কেমন আছে? প্রিয়া বুঝি দেখতে খুব ভাল। তুমি ও প্রিয়া দুজনই একই অফিস এ চাকরি কর?
রাহুলঃ একটু মুচকি হাসল। তারপর অন্য কথায় চলে গেল। বিভা বলছিল তোমার নাকি আগের ফোন নাম্বারটা আর নেই। বিভা খুব কষ্ট পেয়েছে তুমি তাকে তোমার বিয়েতে ও ডাকনি। আর আমার ব্যাপারে বিভা কিছুই জানত না। তুমি হয়ত সেইদিন আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছিলে কিন্তু আমার ও কিছু করার ছিল না।
সানভীঃ অবাক হয়ে মনে মনে ভাবছে এই সেই রাহুল, যে আমাকে এত কষ্ট দেওয়ার পর ও নিজের ভুল স্বীকার করছে না।
রাহুলঃ সানভী কি কিছু বলবে না আজ ও রাগ করে আছ? বিভার নাম্বারটা রাখতে পার কিছু অসুবিধে না হনে ওকে একবার ফোন করো। বিভার খুব ভাল লাগবে। আজ তোমাকে দেখতে খুব ভাল লাগছে মনে হয় তোমার স্বামী তোমাকে খুব যত্নে রেখেছে। আজ মনে হচ্ছে সেইদিন আমি যা করেছিলাম তাতে তোমার ভাল হয়েছে। আমার কাছে থাকলে হয়ত আমি তোমাকে এতটা ভাল রাখতে পারতাম না। বিভা বলল কাকুকাকিমা ও নাকি আর সেই বাড়িতে থাকে না। ওরা কোথায় আছে?
সানভীঃ মা বাবা আমার কাছে আছে। ওরা ভাল আছে।
রাহুলঃ ভাল করেছ ওদের তোমার কাছে রেখে, তোমার স্বামী মনে হয় সত্যি খুব ভাল।
সানভীঃ ভাবল আর কিছুক্ষণ বসে থাকলে সে সেখানেই কেঁদে ফেলবে। তাই সে হঠাৎ বলে উঠল আজ যাই দেরি হয়ে যাবে।
রাহুলঃ সুনীলের কাছে গাড়ি আছে চল তোমাকে ছেড়ে দেই ওকে একটা ফোন করি একটু অপেক্ষা কর।
সানভীঃ না আমি যেতে পারব।
রাহুলঃ তোমরা এখন কোথায় থাক?
সানভীঃ রামনগর রেলস্টেশনের কাছে।
এমন সময় সুনীল হাজির। কিরে তোদের কথা হল বাড়ি যাবি।
রাহুলঃ চল সানভীকে একটু ছেড়ে দিয়ে আসি।
সুনীলঃ কোথায় থাকে দিদি?
রাহুলঃ রামনগর রেলস্টেশনের কাছে।
সুনীলঃ ও তাই আমার দিদির বাড়ির কাছে।
রাহুলঃ ভালই হল আমরা তো সেখানেই যাচ্ছি। সানভী কাল বিভার সাথে দেখা করতে বিভার বাড়ি যাব। তুমি যেতে চাইলে যেতে পার। তুমি সুনীলকে বাড়িটা দেখিয়ে দাও কাল সুনীল তোমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নেবে। তোমার স্বামী ও ছেলেমেয়েদের ও নিয়ে চল। বিভার সাথে ওদের ও দেখা হয়ে যাবে।
সানভীঃ আমার একটু কাজ আছে তোমরা চলে যাও। আমার দেরী হবে বাড়ি যেতে।
রাহুলঃ তবে আমরা অপেক্ষা করছি। তোমার কাজ শেষ হলে একসাথে যাব।
সানভীঃ একটু রেগে উত্তর দিল না বললাম তো।
রাহুলঃ ঠিক আছে তবে তোমার স্বামীর সাথে দেখা করার ইচ্ছে ছিল।
সানভী চলি বলে এগিয়ে গেল। রাহুল ভাবল সানভী হয়ত এখনো ওকে মাপ করতে পারে নি।
সানভীর চোখের সামনে যেন সেইদিনের চিঠির সব কিছু ভেসে উঠছিল। আজ রাহুল ভাল ভাল কথা বলছে কিন্তু সেই দিন একটা চিঠি দিয়ে সম্পর্কটা ভেঙ্গে দিয়েছিল। সে কিভাবে লিখেছিল সে প্রিয়াকে ভালবাসে সে তাকেই বিয়ে করবে। সে যেন রাহুল কে ভুলে যায়। সে যদি প্রিয়া কে ভালবাসে তবে কেন আমার সাথে সম্পর্ক করেছিলে।
সানভীর সেই রাতে খুব মন খারাপ ছিল। ওর নিজের উপর রাগ হচ্ছিল কেন সে রাহুলের সাথে কথা বলল। রাহুল সেই রাতে সুনীলের সাথে তার দিদির বাড়িতে গেল। সুনীল তার দিদিকে সানভীর কথা বলছিল। সুনীলের দিদি বলল সানভী নামে একজন ভদ্র মহিলা তার মা বাবার সাথে থাকে ওনার একটি অনাথ আশ্রম ও আছে। উনি নিজেই দেখা শুনা করেন। আর ছুটির দিনে পাড়ার গরীব মেয়েদের পড়ান আমি ও মাঝে মধ্যে ওনাকে সাহায্য করতে যাই তবে সানভী তো বিবাহিত নয়। রাহুল কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছে না। সুনীলের দিদি বলল চল কাল রবিবার আমি যাব সানভীর কাছে তোমরা ও চল এই সানভী কি সেই সানভী কিনা বুঝতে পারবে।
রাহুলের যেন সময় কাটছিল না সে রবিবার বিকেলের অপেক্ষায় ছিল। বিকেলে ওরা সুনীলের দিদির সাথে সানভীর আশ্রমে গেল। রাস্তায় রাহুল সানভীর বাবাকে দেখতে পেল। রাহুল সব কিছু বুঝতে পারছিল, সানভী এখনো হয়ত রাহুলের অপেক্ষায় আছে। রাহুল আর সময় নষ্ট না করে সোজা সানভীর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইল।
রাহুল সানভীকে বলল আমি তোমার কষ্ট দেখতে পারছিলাম না তাই চেয়েছিলাম তুমি কাউকে বিয়ে করে ভাল থাক। তার সেই দিন এমন চিঠি লিখে বন্ধুকে দিয়ে পাঠিয়েছিলাম, তোমার সামনে মিথ্যা কথা বলতে পারব না বলেই । আর প্রিয়া বলে এমন কেউ নেই। আমাকে তুমি ক্ষমা কর। আজ রাহুলের অশ্রুসিক্ত স্বীকারোক্তি তে সানভীর অপেক্ষা শেষ হল।
☝
Rahul has a very good friendship with a boy named Sunil where he works. Today, after 5 years, he returned to his hometown with that friend. Rahul introduces Sunil to Sanvir................................
Sanvi couldn't even think that she would meet Rahul again. Rahul told Sanvi that after a long time we met, let's not talk on the roadside, there is a cafe nearby let's go to the cafe. At first Sanvi thought she would not talk to Rahul anymore but she had a lot of thing to know.
Rahul saw clothes bag in Sanvi's hand and asked her did you go to buy clothes for your children?
Sanvi: Didn't say anything.
Rahul: Are you doing the job now? What does your husband do?
Sanvih said a little quietly, how is Priya? Is You and Priya both work in the same office?
Rahul: A little smile. Then he change the topic. Viva was saying that you don't have the previous phone number anymore. Viva is so much sad, you didn't even call her at your wedding. Viva did not knew anything about me. I am sorry if I have hurt your feelings because of my behaviour in that day, but I had nothing to do.
Sanvi: Surprised, is this my Rahul? who is not feel guilty of his mistake after giving me so much trouble.
Rahul: Sanvi, you do not say anything today. Still now are you angry with me? Please call Biva once if you have no problem. Biva will be very happy then. It's nice to see you today. I hope your husband took good care of you. I think, What I did that day was good for you.Viva says that Kakukakima doesn't live in that house anymore. Where are they?
Sanvi: They live with me.
Rahul: You did well to keep them with you, your husband seems to be really very good.
Sanvi: I thought in her own mind (I will cry if I sat there for a while). So Sanvi suddenly said It would be too late today.
Rahul: Sunil has a car.Wait for a while he will come quick. Let's call him.
Sanvi: No, I cannot go home now.
Rahul: Where do you live now?
Sanvi: Near Ramnagar railway station.
At that time Sunil appeared and told Rahul let's go home.
Rahul: said to Sunil please lift Sanvi.
Sunil: where is Sanvi's house?
Rahul: Near Ramnagar railway station.
Sunil: Your house is so near to my sister's house.
Rahul: It is good we are going together. Sanvi, will you go to Biva's house to meet her tomorrow. You can go if you want to go. Tomorrow Sunil will pick you up from the front of the house. Take your husband and children with you. They will also meet with Biva.
Sanvi: I have a little work to do. I will be late to go home.
Rahul: Ok we are waiting for you. We'll go together when you're done your work.
Sanvi: (answer a little angrily). No। you may go now.
Rahul: Okay but I wanted to meet your husband. Rahul thought Sanvi might not be able to forgive him yet.
Everything in the letter of that day seemed to be floating in front of Sanvir's eyes. Today Rahul is talking well but he broke up the relationship with a letter that day. How he wrote he loves Priya he will marry her. why he told me to forget him. If he loves Priya then why did he have a relationship with me.
Sanvir was very upset that night. She was angry with herself why she talked to Rahul. Rahul went to Sunil sister's house with Sunil that night. Sunil was talking to his sister about Sanvir. Sunil's sister said that a decent woman named Sanvi lives with her parents and she has an orphanage house also. She herself take care the child of orphanage house. Sanvi also teach the poor girls of the neighborhood on holidays and sometimes Sunil's sister go to help her but Sanvi is unmarried. Rahul does not understand what is happening. Sunil's sister said let's go tomorrow to Sanvi's house. Tomorrow will be Sunday I will go there to help Sanvir and you will understand whether this Sanvi is that Sanvi or not.
As if Rahul was not wasting his time, he was waiting for Sunday afternoon. In the afternoon they went to Sanvir's Ashram with Sunil's sister. On the street, Rahul saw Sanvir's father. Rahul understood everything, Sanvi may still be waiting for Rahul. Without wasting any more time, Rahul went to Sanvir's and apologized.
Rahul told Sanvi that,"I could not see your suffering if you want to marry anybody else do it and be happy. I wrote a letter to you that day saying that and sent the letter to a friend because I could not lie to you, and there is no one named Priya." Please You forgive me.
Today, Sanvir's wait is over with Rahul's tearful confession.
0 Comments
Thanks for comments.