adds

নববর্ষ

                                                       নববর্ষ

পয়লা বৈশাখ,বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ(বাংলা প্রথম মাসের ১ তারিখ) তথা নববর্ষ। এই দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন অংশে যেমন পশ্চিমবঙ্গে, আসাম,উড়িষ্যা,মনিপুর ও ত্রিপুরায় মহাসমারোহে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। নববর্ষ বাংলা নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে বাঙ্গালিরা পালন করে থাকে, কিন্তু বর্তমানে তা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।এখন দেশের বাইরে ও অনেক জায়গায় প্রবাসী বাঙালিদের জন্য নববর্ষের দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অতীতে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ 'ঋতুধর্মী উৎসব' হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। 

সমস্ত বাঙ্গালি সমাজ বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে মহা আনন্দে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাস থেকেই দোকানে দোকানে চলে "চৈত্র সেল" (জিনিসপত্র ক্রয়ের উপর দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়)। 'চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তিতে পালিত হয় চড়কপূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা। তাছাড়া এখনো বাংলার বহু পরিবারে চৈত্র সংক্রান্তির দিনে নানারকম তেতো শাক খাওয়া, কোন কোন পরিবারে আবার পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে খই গুরু করে গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরি করার প্রচলন ও আছে। এইভাবে সারা চৈত্রমাস জুড়ে নানা রীতিনীতি পালনের মধ্য বছরকে বিদায় জানিয়ে নূতন বছরকে স্বাগত জানায়।
বছরের প্রথমদিন অনেকেই সকাল বেলায় নূতন জামাকাপড় পরে গৃহস্থ এর মঙ্গল কামনায় মন্দিরে মন্দিরে পূজা দিতে যায়। ছোটরা বড়দের প্রণাম জানায়। সকলেই তার আশেপাশে থাকা লোকজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। বাড়িতে বাড়িতে চলে ভুরিভোজ। সকলেই তাদের সামর্থ্য মত মাছ, মাংস ও নানারকম মিষ্টি দিয়ে রসনা চরিতার্থ করে। ব্যবসায়ীরা সকাল সকাল গণেশ পূজার মধ্য দিয়ে নতুন হালখাতা খুলে। দোকানে দোকানে চলে মিষ্টি খাওয়া। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসে মেলা।

কিন্তু বাংলা নববর্ষ কেন পালন করা হয় তা জানতে হলে আমাদের যেতে হবে অতীতে। 

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হয়। আর ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ পালিত হয়।

কোন কোন ঐতিহাসিকদের মতে ৭ম শতাব্দীতে গৌড় বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা শশাঙ্ক বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন। আর এখান থেকেই বাংলা বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়। আবার কারো কারো মতে মোগল সম্রাট আকবরের হিজরি সাল হিসাবে ভারতবর্ষে ফসলের কর আদায়ের অসুবিধে হত, আসলে হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। তাই তিনি খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম চালু করেন।

গ্রীষ্মের খরতাপে যখন প্রকৃতি অস্থির, ফসল ফলাবার জন্য যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন সেই বৃষ্টির আবাহনের সঙ্গে আসে নববর্ষ। সকলকে বাংলা শুভ নববর্ষের অগ্রিম প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
                             
Nababarṣa

In English

According to the Bengali calendar, Poyla Boishakh (1st day of the first month of Bengali) i.e. Bengali New Year. This day is celebrated in grand ceremonies in Bangladesh and different parts of India such as West Bengal, Assam, Orissa, Manipur and Tripura.  Bengali New Year is celebrated by the Bengalis only, but now it has become a universal festival. Now Baishakhi Mela is held on the 1st day of Bengali New Year for the expatriate Bengalis outside the country and in many places. However, in the past, New Year or phyla Boishakh was celebrated as a 'seasonal festival'. At that time its main significance was agriculture.

All the Bengali society welcomes the new year with great enthusiasm. Preparations for the New Year continue throughout the month of Chaitra. "Chaitra Sale" (special discounts are given on the purchase of goods) from the month of Chaitra. On the last day of the month of Chaitra i.e. Chaitra Sankranti, Charak Puja i.e. worship of Shiva is celebrated. Moreover, many families in Bengal still eat various bitter vegetables on the day of Chaitra Sankranti, and in some families, it is customary to make Naru with molasses for God. In this way, we bid farewell to the year and welcome the new year by observing various rituals throughout the month of Chaitra.

On the first day of the year, many people go to the temple in the morning after wearing new clothes to worship at the temple for the well-being of the householder. The younger ones bow to the older ones. Everyone exchanged greetings with the people around him. People are eating so many delicious foods on that day. Everyone satisfies their taste with fish, meat and various sweets as much as they can afford. Traders open new halakhatas for their Business in the morning through Ganesha Puja. Fairs sitting in different places.
But if we want to know why Bengali New Year is celebrated, we have to go back to the past.

According to the Gregorian calendar, Bengali New Year is celebrated on 14th April every year in Bangladesh. According to the Chandrasaur Bengali calendar, Bengali New Year or Poyla Boishakh is celebrated on 15th April in different parts of India.

According to some historians, Shashanka, the first sovereign king of Gaur Bengal, introduced Bangabda in the 7th century, and this is where the Bengali calendar begins. According to some historians, the Mughal emperor Akbar had difficulty in collecting crop tax in India as Hijri year. In fact, the Hijri year was dependent on the moon and did not coincide with the agricultural yield, forcing the farmers to pay rent at an inopportune time. So he introduced the rules of the new Bengali year based on the solar year and the Arabic Hijri year of the royal astronomer Fatehullah Siraj to facilitate the collection of rent.

The New Year comes with the call of that rain when nature is restless in the heat of summer when rain is needed for the harvest. Happy Bengali New Year to all in advance

Post a Comment

0 Comments