adds

সরস্বতী পূজা - Saraswati puja

                                                          সরস্বতী পূজা

(English and Bengali both languages are available)

"সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। 
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।"

বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই সব পার্বণের মধ্যেই একটি প্রাচীন ও অতি পরিচিত ঐতিহ্যমণ্ডিত পূজা হল দেবী সরস্বতীর পূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ পালন করা হয়ে থাকে।

সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার সহধর্মিণী এবং বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মী ও মহেশ্বরজায়া পার্বতীর সঙ্গে একযোগে ত্রিদেবী নামে পরিচিত দেবী সরস্বতী। পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মার মুখ থেকে দেবী সরস্বতীর উৎপত্তি।তাই ব্রহ্মা হলেন দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস।

দেবী সরস্বতী প্রাচীন কাল থেকেই বাঙালীর হৃদয় ও অন্তরে অনেকটা জায়গা জুরে বিরাজ করছেন।পুরাণে উল্লেখিত একটি কাহিনী অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেবী সরস্বতীর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বর দিয়েছিলেন বসন্ত পঞ্চমীর দিনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হবে।  ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে সমস্ত বাচ্চাদের বিদ্যার জন্য এই দিনটিকে বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। সেই কারণে এই দিনে বাচ্চাদের হাতেখড়ি দেওয়ানো হয়। এই দিনেই বাচ্চাদের প্রথম অক্ষর লিখতে শেখানো হয়।

শীতকালের পর বসন্ত ঋতুতে এই উৎসব পালন করা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সঙ্গীত ও শিল্পকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী।  মাঘ মাসে শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা করা হয়। তাই সরস্বতী পূজাকে ঘিরে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা আবেগ কাজ করে। 

ধর্মের বেড়াজাল অতিক্রম করে এই উৎসব সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত সরস্বতী বিদ্যার দেবী হওয়ায় স্কুল, কলেজে সরস্বতী পুজো আয়োজিত হয়। সেই কারণে সরস্বতী পুজো নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উন্মাদনা অনেক বেশি। কোথাও কোথাও আবার এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা প্রচলিত আছে। বিহারে বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষ্যে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে ছোট ছোট প্যান্ডাল করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে তারপর অনেক জায়গায় ভক্তদের মধ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়।
এই দিনটিতে ছাত্র ছাত্রীদের উন্মাদনাই অনেক বেশি থাকে। প্রকৃতিতে চারদিকে পলাশ ও হলুদ গাধা ফুলের সমাহার দেখতে পাওয়া যায়। সেই দিন সকল ছাত্র ছাত্রীরা বাসন্তী রঙের পোশাক পরে পূজায় অংশ গ্রহণ করে। চারদিক যেন হলুদের মেলা।  হিন্দু সংস্কৃতিতে হলুদ রঙকে শুভ বলে গণ্য করা হয়। এই হলুদ বা বাসন্তী রঙ সমৃদ্ধি, উর্জা এবং সৌম্য প্রতীক।

  যারা স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যায় আমার মনে হয় ওদের সবার জীবনে সেই সরস্বতী পূজার মধুর স্মৃতি সারাজীবন মনে রয়ে যায়। হয়ত নিজেদের স্কুল, কলেজ বা হোস্টেল জীবনের সরস্বতী পূজার মধুর দিনগুলো আর ফিরে আসবে না, কিন্তু সরস্বতী পূজায় ছোট ছোট বাচ্চাদের বাসন্তী রঙের পোশাক পরে আনন্দ করতে দেখে নিজেদের জীবনের মধুর স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে এসে মনে একটু আনন্দের ছোঁয়া দিয়ে যাবে। 

                                     

   

  সরস্বতী পূজা  আগে ছাত্রছাত্রীরা কেন  কুল খায় না জানতে 👉-কুল 

                                                            Saraswati puja

     Saraswati Mahabhage Vidya Kamallochane.
     Bishalakshmi Vidyangdehi Namohastute.
     Joy Joy Devi Charachar Sare, Kuchyugashobhit Muktahare.
     Veenaranjit Pustak hoste, Bhagwati Bharati Devi Namahastute.


There are so many festival enjoy in Bengali tradition. Among all those festivals, one of the oldest and most well-known traditional worship is the worship of Goddess Saraswati. It is a very important festival for Hindus. Saraswati Puja is celebrated mostly in West Bengal, Odisha, Bihar, Assam, Tripura, Nepal and Bangladesh.

Goddess Saraswati, wife of Brahma, also known as Tridevi, is associated with Devi Lakshmi and Devi Parvati. According to the Puranas, Goddess Saraswati originated from the mouth of Brahma. So Brahma is the source of all the beauty of the Goddess.
Goddess Saraswati has been present in the hearts and minds of Bengalis since ancient times. According to a story in the Puranas, Lord Krishna was pleased with Goddess Saraswati and blessed her. This day is considered to be especially auspicious for the education of all children in terms of tradition and culture. So on this day children are taught to write the first letter.

This festival is celebrated in the spring season after winter. According to Hindu mythology, Saraswati is the presiding deity of knowledge, learning, music and art. Saraswati is worshiped on the fifth day of Shri Panchami in the month of Magh (February) . That is why the different emotions of the school and college students work around Saraswati Puja.

On this day, the insanity of the students is much more. A combination of palash and yellow marigold can be seen all around in nature. On that day, all the students took part in the puja wearing yellow colored clothes. All around is like a fair of yellows. In Hindu culture, yellow is considered auspicious. This yellow or basanti color symbolizes prosperity, energy and majesty.
This festival has spread to all levels of society beyond the barriers of religion. Saraswati Pujo is organized in schools and colleges especially as Saraswati is the goddess of learning. That is why the students are very insane about Saraswati Pujo. Somewhere again the custom of flying a kite is prevalent on this day. In Bihar, the sun god is worshiped on the occasion of Basant Panchami. In Assam, Tripura, Jharkhand and West Bengal, Saraswati Pujo is organized in small pandals and then distributed Prasad among the devotees in many places.

I think the sweet memories of that Saraswati Puja will remain in the lives of all those who cross the boundaries of school and college and move forward on the path of life. Maybe the sweet days of Saraswati Puja in their school, college or hostel life will never come back, but the sweet memories of their life float in front of their eyes when they see the little ones enjoying Saraswati Puja in yellow coloured clothes.

   To know Before Saraswati Puja, why don't students eat 👉Kul


Post a Comment

0 Comments