আবার নতুন করে শুরু-৫ম পর্ব
কিন্তু তোকে সারপ্রাইস দেওয়া হবে বলে আমরা বলিনি। সৃজা কেক কাটল। সেইদিন ই তীর্থ সৃজাকে খুব সুন্দর একটা আংটি পরিয়ে দিল। ................
এক সপ্তাহ পর সৃজা ও তীর্থের বিয়ে। বেশ ভালভাবেই বিয়ে কেটে গেল। তারপর ওরা ওদের স্বপ্নের স্বর্গভূমি সিমলা-মানালি থেকে ঘুরে এসে যে যার কাজে যোগ দিল। তীর্থ তার ব্যবসা কে আরও বড় করার চেষ্টা করছিল। আর সৃজা তার চাকরির সাথে সাথে মা বাবা ও শশুর শাশুড়ির ও দেখাশোনা করতে লাগল।
দেখতে দেখতে তিনটে বছর কেটে গেল। কিন্তু আজ কাল সৃজা ও তীর্থের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি গুলি যেন দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। কাজের চাপে কেউ কাউকে তেমন সময় দিয়ে পারে না। তাই তীর্থ এখন চায় সৃজা চাকরিটা ছেড়ে ঘরে বিশ্রাম নিক। আর দরকারে তীর্থকে সাহায্য কারুক।কিন্তু সৃজা কিছুতেই চাকরি ছাড়তে রাজি নয়।
এক সময় তীর্থের সৃজাকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও চলত না কিন্তু আজ সৃজার মন খারাপ থাকলে ও সে বুঝতে পারে না। তাই সৃজা অফিস থেকে ছুটি পেলেই তার মা বাবার কাছে চলে যায়। এদিকে ছুটির দিনগুলোতে মা বাবার কাছে চলে যায় বলে তীর্থের ও মাঝে মধ্যে সৃজার উপর খুব রাগ হয় কিন্তু সে সৃজাকে বুঝতে দেয় না।
প্রতিবার শীতের ছুটিতে সৃজা ও তীর্থ তাদের মা বাবা ও বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেত। সৃজা ও সেই মত সব ব্যবস্তা করল কিন্তু তীর্থ ব্যবসার কাজে সৃজাকে না বলেই সেই সময় শহরের বাইরে চলে গেল। সৃজা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে ভাবল সবাইকে এক সাথে দুটো সারপ্রাইস দেবে যে সে এবার তীর্থের সাহায্য ছাড়াই ঘুরতে যাবার ব্যবস্থা করে নিয়েছে কিন্তু বাড়ি ফিরে তার শাশুড়ি মা কে বলতেই শাশুড়িমা বলে উঠল তুই তীর্থকে না জানিয়ে করলি কেন? তীর্থ তো ব্যবসার কাজে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে গেছে।
সৃজা খুব ই কষ্ট পেল যে তীর্থ তাকে না জানিয়ে চলে গেল। সে কাউকে কিছু বলল না। মনে মনে সেই রাতে ঠিক করল আর সে এখানে থাকবে না। সৃজা রাগে সে যে মা হতে চলেছে সেই কথা তা ও চেপে গেল। তীর্থ সৃজাকে না জানিয়ে চলে গেল তাই তার শশুর শাশুড়ি ও খুব রাগ করল তীর্থের উপর। তীর্থের মা তীর্থকে ফোন করে খুব বকা বকি করল। তীর্থ রাতে অনেক বার সৃজাকে ফোন করল কিন্তু সৃজা ফোন ধরল না। তীর্থ ভাবল ফিরে এসে সৃজাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।
সৃজা তীর্থকে আর সেই সুযোগ দিল না। সে পরদিন সকালেই তীর্থকে একটা চিঠি লিখে বাপের বাড়ি চলে গেল। তীর্থের মা সৃজাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু সৃজা কিছুই শুনল না। এদিকে সৃজার মা বাবা ও তাকে বুঝানোর চেষ্টা করল। কিন্তু সৃজা আর কিছু শুনতে চাইল না।
next part................
In English
A week later, Shreeja and Tirtho got married. Then they went for a tour Shimla-Manali, the paradise of their dreams. After returning from tour Tirtho was trying to make his business bigger, and Sreeja started taking care of her parents, father-in-law and mother-in-law along with her job.
Three years have passed. But today, the misunderstanding between Sreeja and Tirtho seems to be increasing day by day. No one can give so much time to someone under the pressure of work. So Tirtho now wants Sreeja to quit her job and rest at home and help Tirtho in need. But Sreeja is not willing to leave the job at all.
Once upon a time Tirtho could not a spend a single moment without Sreeja, but today if Sreeja is upset, Tirtho cannot understand. So when Sreeja gets leave from the office, she goes to parents house. Meanwhile, during the holidays, Tirtho is very angry with Sreeja for going to her parents house.
Every winter, Sreeja and Tirtho would visit to new place with their parents and friends. Sreeja made similar arrangements but did not tell Tirtho to give him surprise. At that time Tirtho left the city without discussing with Sreeja. When Sreeja returned home from the office, she thought that she would give two surprises to everyone at home. She returned home and told her mother-in-law that this year she had made arrangements to visit a nice place without the help of Tirtho, but when she told her mother-in-low, her mother-in-low told her that, Tirtho has been out of station for the purpose of business for a week.
Sreeja was so upset that Tirtho left without informing her. He didn't say anything to anyone. She decided that night that she won't be here any more. Sreeja became angry so she didn't tell anyone she was going to be a mother.Tirtho left without informing Sreeja, so her mother-in-law became very angry with Tirtho. Tirtho's mother called Tirtho and scolded him. Tirtho called Sreeja many times in night but Sreeja did not answer. Tirtho thought he would come back and can visit with Sreeja in a nice place.
Sreeja did not give Tirtho that opportunity anymore. She wrote a letter to Tirtho the next morning and left for her father-in-law's house. Tirtho's mother tried to explain to Sreeja but Sreeja did not listen. Meanwhile, Sreeja's parents tried to persuade him. But Sreeja didn't want to hear anything else.
next part...............................
0 Comments
Thanks for comments.