আবার নতুন করে শুরু-ষষ্ঠ পর্ব
previous part
তীর্থের মা সৃজাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু সৃজা কিছুই শুনল না। এদিকে সৃজার মা বাবা ও তাকে বুঝানোর চেষ্টা করল। কিন্তু সৃজা আর কিছু শুনতে চাইল না।......................
তীর্থ বাড়ি ফিরে এসে তার মার কাছে সব শুনল। তারপর ঘরে গিয়ে সৃজার চিঠিটা ও পেল যাতে লেখা ছিল সে আর কোনদিন তার কাছে ফিরবে না। সে এবার একটু শান্তিতে বাঁচতে চায়। তীর্থের এমন ব্যবহার তার আর ভাল লাগছে না। তীর্থ বুঝতে পারল সৃজা খুব কষ্ট পেয়েছে। তাই সে ঠিক করল সৃজাকে সে নিজে গিয়ে নিয়ে আসবে। তবে সৃজা আর রাগ করে থাকতে পারবে না।
তীর্থ পরদিন সৃজার বাড়ি চলে গেল সৃজাকে আনতে। কিন্তু সৃজা কিছুতেই রাজি হল না। সৃজার মনে হয়েছিল কাছে থেকে ঝগড়া করার থেকে দূরে থাকা অনেক ভাল। তারপর তীর্থ বাড়ি ফিরে এলো এই ভেবে কিছুদিনের মধ্যে সৃজার রাগ কমে যাবে তখন সে নিজেই ফিরে আসবে। তবে সৃজা তার সন্তানের কথা তীর্থকে কিছু বলল না তার মা বাবাকে ও বারণ করে দিল বলতে। প্রথম কিছুদিন তীর্থ সৃজাকে ম্যাসেজ পাঠাত কিন্তু এবার তীর্থের ও রাগ হচ্ছিল। সে ও ম্যাসেজ পাঠানো বন্ধ করে দিল।
তবে ওরা দুজনই দুজনের অভাব অনুভব করছিল। কিন্তু রাগে কেউ কাওকে ফোন ও করছিল না।এদিকে সৃজার ও আজকাল শরীরটা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। একদিন সৃজা তার অফিসের কয়েকজন বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্ট এ খেতে গেল। সেখানে তার এক পুরনো বন্ধু সুদীপ্তের সাথে তার দেখা হল। প্রায় দশ বছর পর দুজনের দেখা।আসলে সুদীপ্তকে বন্ধু বলা টাও ভুল হবে একসময় দুজন দুজনকে খুব পছন্দ করত। কিন্তু সব সম্পর্ক তো আর গড়ে উঠে না। তেমনি সৃজা ও সুদীপ্তের সম্পর্কটা ও গড়ে উঠার আগেই ভেঙ্গে গেছিল।
সুদীপ্ত এখন তার পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে থাকে। কিছুদিনের জন্য ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। সুদীপ্ত ও আজ বন্ধুদের সাথে দেখা করতে এসেছিল।এখানে এসে হঠাৎ অনেকদিন পর সৃজার সাথে সুদীপ্তের দেখা হয়ে গেল। প্রথমে সুদীপ্ত ভেবেছিল সৃজা হয়ত তার সাথে আর কথা বলবে না। কিন্তু সৃজা সুদীপ্তের সাথে কথা বলল। সৃজা আসলে এখন সেই আগের মত এত অভিমানী মেয়ে নয়। আর অভিমান করে ও কি হবে? বা কার উপর অভিমান করবে যে কখনো তার ছিল না তার উপর। যাই হোক ওরা সব ভুলে গিয়ে দুজনে বন্ধুর মত সেই ফেলে আসা কলেজের কথা নিয়ে গল্প করতে শুরু করল।
হঠাৎ সৃজার মা ফোন করল, ঘড়িতে তখন রাত ৯ টা বাজে। সৃজা তাড়াতাড়ি করে উঠে পরল বাড়ি যেতে দেরি হয়ে যাবে। সৃজা উঠে দাঁড়াল তখনি তার শরীরটা খুব খারাপ করছিল। আসলে এই সময় সৃজাকে অনেক যত্নে থাকা দরকার কিন্তু সৃজা তীর্থের উপর রাগ করে নিজের কোন যত্ন ই নেয় না।
এমন সময় তীর্থ সেই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তীর্থ হঠাৎ দেখতে পেল সুদীপ্ত সৃজাকে ধরে দাঁড়িয়ে আসে সৃজার খুব শরীর খারাপ করছিল। তীর্থ সুদীপ্তের কথা জানত ওর ছবি ও দেখেছিল সৃজার কলেজের ছবিতে। কিন্তু সৃজার এমন অবস্থা দেখে সে এগিয়ে গেল। সুদীপ্ত তীর্থকে চিনত না তাই সে লিফট চাইল। তীর্থ অপরিচিত লোকের মত ওদের, সৃজার বাড়ির সামনে ছেড়ে দিল। সৃজা তীর্থকে একবার বলার চেষ্টা ও করল কিন্তু সৃজা কথা বলতে গেলেই তার বমি পাচ্ছিল।
.............. next part.
In English
Previous Part
Meanwhile, Sreeja's parents tried to persuade him. But Sreeja didn't want to hear anything else..................................
When Tirtho returned home, he heard everything from his mother. Then he went to his room and found the letter of Sreeja.In this letter Sreeja had written that she would never return their home. She wants to live in peace this time. She does not like such mental torture . Tirtho realized that Sreeja had suffered a lot. So he decided to go Sreeja's house tomorrow and bring Sreeja to himself. Then Sreeja can no longer be angry.
Tirtho went to Sreeja's house the next day to fetch Sreeja. But Sreeja did not agree to return. Sreeja thought it was better to stay away from quarrelling. Then Tirtho came back home thinking that in a few days the anger of Sreeeja will subside and she will come back by herself. However, Sreeja did not tell Tirtho anything about their child and forbade her parents to do so. For the first few days, Tirtho used to send messages to Sreeja, but this time Tirtho was also angry. He also stopped sending messages.
But they both missed each other. But no one was calling to other in anger. Nowadays, Sreeja's is not going very well . One day Sreeja went to a restaurant with some friends from her office. There she met Sudipto, an old friend of her. The two met after about ten years. In fact, it would be wrong to call Sudipto a friend. At one time, the two liked each other very much. But not all relationships get better. Similarly, the relationship between Sreeja and Sudipto was broken even before it was formed.
Sudipto now lives abroad with his family. He came home on vacation for a while. Sudipto also came to meet his old friends today. Suddenly Sudipto saw Sreeja after a long time. At first Sudipto thought that Sreeja might not talk to him anymore. But Sreeja spoke to Sudipto. Sreeja is actually not as arrogant as she used to be. what will happen to arrogance? Or she will be angry with someone who was never hers. Anyway, they all forgot and started talking about their college life's memory they left behind.
Suddenly Sreeja's mother called, it was 9 o'clock at night. Sreeja got up early besause it would be too late to go home. When Sreeja got up, she was feeling very unwell. In fact, at this time, Sreeja needs to be very careful, but Sreeja is angry at Tirtho so she does not take any care of herself.
At that time Tirtho was returning home by that road. Tirtho suddenly saw Sudipto standing holding Sreeja and Sreeja was getting very unwell. Tirtho knew about Sudipto and saw her in the college picture of Sreeja. But seeing such condition of Sreeja, he went ahead. Sudipto did not know Tirtho and asked him for a lift. Tirtho left them in front of the house of Sreeja like strangers. Sreeja tried to tell Tirtho once but Sreeja was vomiting when she went to talk.
0 Comments
Thanks for comments.