হঠাৎ ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া - বন্ধু
(English and Bengali both languages are available)
"প্রকৃতির সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নাম বন্ধুত্ব।"
আমরা অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে মাঝেমধ্য পরাতন বন্ধুদের বা জীবনের পথ চলতে চলতে যে বন্ধুদের অনেক দুরে ফেলে এসেছি তাদের খুঁজে পাই। হঠাৎ ছোট বেলায় ফেলে আসা সেই বন্ধুদের খুঁজে পেলে মনে যে আনন্দ হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা খুবই কঠিন। সময়ের সাথে সাথে আমাদের চেহারার ও অনেক পরিবর্তন ঘটে কিন্তু তা ও বন্ধুরা খুঁজে পেয়ে যখন ম্যাসেজ পাঠায় কি রে কেমন আছিস? চিনতে পারছিস? তখন সেই বন্ধুকে দেখে মনে যে আনন্দের অনুভূতি হয় তা বলার অবকাশ রাখে না। আমাদের ব্যস্ত জীবনে হয়ত ওরা অনেকটা দুরে থাকলে ও মনের স্মৃতিতে এখনও রয়ে গেছে। সবার জীবনে হয়ত কম বেশি এই ঘটনা ঘটে থাকে।
তিসার জীবনে ও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। তিসা এখন বিবাহিত।তার একটা ছোট ছেলে আছে। হঠাৎ এক দুপরে তার মোবাইল এ একটা ম্যাসেজ এল। কি রে চিনতে পারছিস? তিসা তখন ছেলেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত। সে মোবাইল টা রেখে দিল। রাতে মোবাইলটা হাতে নিতেই তার চোখে পরল সেই ম্যাসেজ টাতে । সে নামটা দেখে প্রোফাইলের ছবিটা খুলে দেখল সে তো সেই অর্ণব। যদিও অনেক পাল্টে গেছে কিন্তু তাও চেনা যাচ্ছে।
সেই ছবিটা দেখে তিসার মনে পরে গেল সেই ১২ বছর আগের কথা। তখন সে স্কুলে পড়ত। তিসা অপূর্ব সুন্দরী না হলে ও দেখতে ভালই ছিল। সে ছিল খুব ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের মেয়ে। সে সব সময় পড়াশুনা নিয়ে থাকত। তার অনেক বন্ধু ছিল বটে কিন্তু সে সবার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারত না। সে চাইত সে যেমন বন্ধুদের ভালোবাসে ও সন্মান করে সবাই তাকে ও তাই করে।কিন্তু কেউ যখন সেই বুন্ধুতের সীমানা অতিক্রম করত বা বন্ধুতের বাইরে গিয়ে অন্য কিছু বলার চেষ্টা করছে তখন ই সে তাদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিত।
অর্ণব ছিল সেই বন্ধুদের মধ্যে একজন। তিসা যখন স্কুলে যেতো অর্ণব তখন তার রিক্সার পেছন পেছন যেত। তিসা তাতে খুব ই বিরক্ত হত। কিন্তু সে কিছু ই বলতে পারত না। তিসা ভাবত অর্ণব কেন বন্ধুতের মত একটা ভাল সম্পর্ক নষ্ট করছে। যাই হোক তিসা এই সব পাত্তা না দিয়ে নিজের পথে নিজের মত করে অনেক দুর এগিয়ে গেল। অর্ণব ও তার পড়াশুনা শেষ করে নিজ্বের একটা কোম্পানি খুলেছে।
আজ ১২ বছর পরে হঠাৎ অর্ণবের ম্যাসেজ পেয়ে তিসা কি করবে ভাবতেপারছিল না। যদিও তিসা এই ১২ বছরে অনেক পাল্টে গেছে। সে এখন সবার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারে। যেই মেয়ে কিছু ই করতে পারত না সে এখন সংসারের সব কিছু একাই করতে পারে। সে এখন কারো ব্যবহারে বিরক্ত হলে ও মুখের উপর বলতে পারে।
তিসার জীবনের সব কথা তার স্বামী জানে। সে অর্ণবের পাঠানো ম্যাসেজ এর কথা ও বলল। তার স্বামী বলল তুমি তো ওকে বন্ধু বলে ভাব তবে কথা বলতে আপত্তি কোথায়? তিসা এখন অর্ণবের সাথে মাঝেমধ্যে কথা বলে। অর্ণব ও তিসা কেমন আছে খবর নেয়। কিন্তু যখন অর্ণব তিসাকে বলে তিসা একবার দেখা করবি? তখন তিসা খুব ভয় পায় সেই ভেবে যে অর্ণব আবার আগের মত না বন্ধুতের সীমা অতিক্রম করে ফেলে।
তিসার কাছে বন্ধুতের চেয়ে দামী আর কিছু নয়। এই পৃথিবীতে সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার । যাদের সত্যিকারের বন্ধু নাই তারা খুব একা। তিসা তার সব বন্ধুদের নিয়ে ভাল থাকতে চায়। যাতে জীবনের প্রত্যেক পদে সে তার বন্ধুদের কাছে পায়।
যাই হোক এইভাবে অনেক বছর কেটে গেল। তিসা একদিন অর্ণবকে তার ঠিকানা টা দিতে বলল।অর্ণব অবাক হয়ে বলল কি হবে ঠিকানা দিয়ে। তিসা বলল তুই ঠিকানা টা দেয় তো। একদিন ছুটির দিনে তিসা তার স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে অর্ণবের বাড়ির কাছে গিয়ে ফোন করল কিরে কোথায় আছিস বাইরে বাড়িয়ে দেখ। অর্ণব তো তিসা কে দেখে অবাক। এত বছর পর দুই বন্ধু দুজন কে দেখে কি যে আনন্দিত হল তা আর বলার নয়। সেই দিন ওরা সবাই মিলে একসাথে খুব মজা করল। এখন তিসার স্বামী ও অর্ণবের খুব ভাব হয়েগেছে। ওরা মাঝে মধ্যে একসাথে ঘুরতে যায়। অর্ণবের স্ত্রী ও তিসাকে প্রায় দিন ফোন করে।
তিসার যখন আজ ও মনে পরে সেই ছোটবেলার কথা সে একা একাই হাসে। কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাইলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হয়ত হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনোদিন হারায় না।
English translation
Friendship is the name of the greatest creation of nature।
At that time she went to school. She was not so beautiful but she was a very polite and calm girl. She was always busy with her books. She had many friends but she could not talk freely to everyone. She wanted everyone to love and respect her as she respected them. But when someone crossed the boundaries of friendship and tried to say something else, she would stop talking to them. Arnav was one of those friends. When Tisa went to school, Arnab would follow her rickshaw. Tisa was very upset about that. But she could not say anything. Tisa wonders why Arnab is ruining a good relationship by doing all these. Anyway, Tisa ignored all this and went on her own way. After finishing his studies, Arnab started a company of his own.
Today, after 12 years, Tisa could not think what to do after getting a massage from Arnab. Although Tisa has changed a lot in these 12 years. She can now talk to everyone with an open mind. The girl who couldn't do anything can now do everything in the world alone. She can now say with courage if she is annoyed with someone's habit. Her husband knows everything about her life. She also spoke about the message sent by Arnab. Her husband said you think he is a friend, then where is the hesitation to talk? Tisa now talks to Arnab occasionally. But when Arnab old Tisa to meet s was very scared thinking that Arnab will cross the line of friendship again like before.
There is nothing more precious to Tissa than friendship. It is a matter of luck to find true friends in this world. Those who do not have true friends are very lonely. Tisa wants to be good with all her friends. So that in every step of life she gets her friends.
However, many years passed like this. One day Tisa asked Arnab to give his address. Arnab was surprised and said what will happen with the address. Tisa insisted he give his address. One day on holiday, Tisa went to Arnab's house with her husband and son. Arnab was surprised to see Tisa. It is hard to say how happy the two friends were to meet each other after so many years. They all had a lot of fun together that day. Now Tisa's husband and Arnab are good friends. They go for a tour together from time to time. Nowadays Arnab's wife calls Tisa often.
When Tisa remembers today about her childhood memory, she laughs alone about it.
9 Comments
Life is not about how many friends you have but the quality of friends you have
ReplyDeleteRi
ReplyDeleteVery true...
ReplyDelete👍
DeleteMoment of joy is friendship
ReplyDeleteYes
Deleteমন ছুয়ে গেল একদম
ReplyDeleteThank you
DeleteEkdmmm thikkk
ReplyDeleteThanks for comments.