তুই কার সাথে আড়ি করবি মেয়ে

                                          তুই কার সাথে  আড়ি করবি মেয়ে 

          ছোটবেলায় আমরা বন্ধুদের সাথে মতের মিল না হলে আড়ি করতাম। সব বাচ্চারাই হয়ত এমনটা করে আবার কিছু দিনের মধ্যে মিল ও হয়ে যায়। আসলে বাচ্চাদের সাদা মনে যে কিছু কাল থাকে না। তাই ওরা সব ভুলে গিয়ে আবার নিজেদের মধ্যে ভাব করে নেয়। 

         মেয়েদের জীবনটা ও ঠিক সেই রকম। অধিকাংশ মেয়েই ছোটবেলায় যখন থেকে বুঝতে শেখে ওরা নিজেদের কথা না ভেবে বাড়ির বাকী সদস্যরা যাতে ভালথাকে সেই চেষ্টাই করে। মেয়েরা যে সকলকে নিয়ে চলতে চায় কারো সাথে আড়ি করে থাকতে পারে না।

        আসলে সে কার সাথে আড়ি করবে যারা তার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে ওদের মধ্যে অধিকাংশ যে তার কাছে লোক। ছোটবেলা থেকে মেয়েকে খুব আদর যত্ন করে মানুষ করে বাবা মা তাকে বিয়ে দিয়ে অন্যের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এটাই আমাদের সমাজের নিয়ম। মেয়েকে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়ি কে নিজের বাড়ি করে নিতে হয়। কিন্তু অন্যের বাড়িকে নিজের করা কি এতই সহজ? শত চেষ্টা করে ও অনেকেই সেই বাড়িতে নিজের একটা স্বাধীন জায়গা ও করতে পারে না। তাই বলে সে কার সাথে আড়ি করবে তার বাবামা না সমাজের সাথে, যার রীতিনীতির সে শিকার। 

       আজ মধুরিমার ঠাকুরমার খুব শরীর খারাপ। তিনি খুব অসুস্থ। যে নাকি তার মার উপর এক সময় খুব অত্যাচার করত। তাই সে ঠাকুমার উপর খুব বিরক্ত ছিল। কিন্তু আজ তার ঠাকুমার অসুস্থতার কথা শুনে তার দুচোখ জলে ভরে গেল। সে ঠাকুমার কাছে যাবার জন্যে পাগল হয়ে উঠল। 

         সত্যি মেয়েরা কার সাথে আড়ি করবে তার বাবার সাথে যে নাকি তার স্বপ্ন পূরণের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলচ্ছে কিন্তু একদিন সেই বাবা ঠাকুমার কথামত সংসার কে দেখবে বলে তার মাকে  চাকরি করতে দেয়নি। শুধু তাই নয় ঠাকুমা ও পিসি তার মাকে অনেক রকম কথা শুনাত যেনেও চুপ থাকত। সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা সে যে আজ ও ভুলতে পারে না। 

       আজ তার পিসি ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচার সহ্য করতে পারছে না বলে সে তার বাবার সাথে পিসিকে আনতে গেল। সে আজ পিসির কাছ থেকে ও মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারল না। 

        কি করে আজ মেয়ে আড়ি করবে সেই বন্ধুদের সাথে যারা একদিন তাকে খুব ভালবাসত যাদের সাথে সব কিছু সে ভাগ করে নিত কিন্তু সময়ে সাথে সাথে ওরা আজ অনেক এগিয়ে গেছে বলে হয়ত তাকে দেখে ও না দেখার ভান করে চলে যায়। 

        মেয়েটি কার সাথে আড়ি করবে সেই প্রেমিকের সাথে যে নাকি তাকে এক সময় ভালবাসার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে  তার পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যায়। 

         সে কার সাথে আড়ি করবে সেই স্বামীর সাথে যে নাকি মেয়েটির মা বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ঘরের লক্ষ্মী করে অনেক যত্নে ঘরে তুলেছিল। কিন্তু সেই কথা সে আজ রাখতে পারল কোথায়? সংসারের অবহেলায় আজ সেই মেয়েটি মানসিক দিক দিয়ে অবসাদে ভুগছে। 

        মেয়েটি কার সাথে আড়ি করবে সেই তার সন্তানদের সাথে যাদের জন্যে সে একদিন নিজের জীবনের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে তাদের  মানুষ করতে গিয়ে তার সমস্ত শক আহ্লাদ ও বিসর্জন দিয়েছে। 

       আসলে এটাই বাস্তব। এত অত্যাচার সহ্য করার পর ও কারো সাথে আড়ি করতে পারে না। সবাই কে আপন করে আগলে রাখতে চায় আর তা করতে গিয়ে সেই হয় অত্যাচারিত ও অবহেলিত। 

                           

          

                                           

          English Translation: 

         In our childhood, we used to hang out with friends if we disagree with them. Maybe all the children will do the same. In fact, it is not uncommon for children. So they forget everything and again make friendship.

        The life of girls is just like that. Most girls from their early age always think about rest of the family members without thinking about themselves. 

         In fact, most of the people who are mentally and physically abusive to her are people close to herself. The girl was taken care of by her parents from an early age and her parents married her and sent her to someone else's house. This is the rule of our society. 

The girl has to leave her own house and take someone else's house as her own. But is it so easy to own someone else's house? After hundreds of attempts, many of them could not even find a place of their own in that house. Who is responsible for this, her parents or the society, whose customs she is a victim of.

         Today Madhurima's grandmother is very ill.Once she was very cruel to her mother. So she was very upset over Grandma. But today, when she heard about her grandmother's illness,her eyes filled with tears. She went crazy to go to Grandma.

         How can a girl rivalry today with her father? who are working day and night to fulfill her dreams, but one day her father did not allow her mother to work because she would look after the family according to her grandmother. Not only that, when her Grandma and aunt torture her mother then her father was silent. She can't forget that days she left behind.

        Today her aunt also torture by the members of her father-in-law's family.But she couldn't keep her face away from her aunt today.

        How can a girl quarrel today with those friends who once loved her so much, with whom she would share everything but over time they may have gone too far today to pretend to see or not see her.

       How can a girl quarrel today with her boyfriend who will leave her with a promise of love at once?

 How can a girl quarrel with the husband who promised to her father to take her to rest of life? But he did not able to keep his words. Today that girl is suffering from mental depression due to the negligence of the world.

      How can a girl quarrel with her children for whom she has given up all her joy and abandonment by giving up her life dream to take care of them.

      In fact, this is the real thing. After enduring so much torture, she can't  rivalry to anyone.