তিন বন্ধুর জীবনের হিসেবের গল্প-তৃতীয় পর্ব
রাজ খুব ঠাণ্ডা মাথার ছেলে। রাজ যদি ও জানত রিয়ার চাকরির পেছনে তার কোন হাত নেই তবু সে রোহণের মনের অবস্থা ভেবে চুপ ছিল।..................।
রোহণের ইচ্ছে ছিল রিয়া আবার ফিরে যাক রোহণের কাছে কিন্তু রিয়া তা করল না। রিয়া ঠিকই করে নিল সে আর ফিরবে না। এবার আসলে রোহণকে আসতে হবে। রিয়ার মা বাবা ও রিয়ার এই আচরণে খুব একটা খুশী ছিল না। একমাত্র রাজ ই রিয়ার কষ্টটা বুঝতে পারছিল। আজ ও রিয়া মন খুলে রাজের কাছে সব বলতে পারত।
তবে রিয়া শশুর শাশুড়ি, ও মা বাবা সবার সবসময় খেয়াল রাখত। রিয়ার মনে একটু হলেও আশা ছিল রোহণ ফিরে আসবে। তাই সে রোহণের অপেক্ষা করতে লাগল। এইদিকে রিয়ার রোহণকে না জানিয়ে চাকরিটা করাতে রোহণের ও খুব অভিমান হয়েছিল। একমাত্র রাজ রিয়ার কষ্টটা বুুুুঝতে পারছিল। তাই রোহণের সাথে কথা বলে তাদের ইগো মেটানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু কিছু লাভ হল না। রিয়ার কষ্ট দেখলে রাজের ও রোহণের উপর খুব রাগ হত।
দেখতে দেখতে দুটো বছর কেটে গেল। রোহণ এক সপ্তাহের জন্য বাড়ি ফিরল তার মা বাবাকে তার সাথে নিয়ে যাবে বলে। কিন্তু তার মা বাবা যেতে রাজি হল না। রাজ রোহণ এসেছে শুনে রোহণের সাথে দেখা করতে গেল। রাজ রোহণকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু রোহণ এতটা রেগেছিল সে রিয়ার সাথে দেখা না করেই চলে গেল। রিয়া ও রোহণের এমন ব্যবহারে খুব কষ্ট পেল।
তবে সে ঠিক করল রোহণ রিয়ার কাছে ফিরে না এলে সে নিজে থেকে রোহণের কাছে যাবে না। এইদিকে রিয়ার আত্মীয় স্বজন রিয়াকে নিয়ে অনেক কথা বলতে শুরু করেছিল। তবে আজ রিয়া এইসব আর কিছু ই পাত্তা দেয় না। সে নিজের মত চলে। রাজ সবসময় রিয়ার পাশে থাকে। সে চেষ্টা করে রিয়াকে ভাল রাখার। কিন্তু প্রতিটা মানুষের মত রিয়া ও যে নিয়তির হাতের পুতুল। সে নিজের জীবনের যতই হিসেব নিকেশ করুক না কেন কিছুই যে মিলাতে পারে না। কোথায় যে ভুল তা যে ধরতে পারে না।
আজ রিয়ার জন্মদিন। রাজ এক সপ্তাহ আগে থেকে তার বাকি বন্ধুদের সাথে মিলে রিয়ার জন্মদিনের আয়োজন করছিল। আজকাল রিয়ার শরীরটা ও ভাল যায় না। কিন্তু ডাক্তার দেখাতে ও যায় না। মাঝে মধ্যে অনেক কষ্ট করে রাজ রিয়াকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। কিন্তু ঠিক করে ওষুধ ও খায় না। রোহণের কাছ থেকে ফিরে আসার পর রিয়ার রোহণের সাথে খুব কম কথাই হয়েছে কিন্তু সে প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে রোহণকে যা বলার ইচ্ছে করত সব একটা ডাইরিতে লিখত। সেটা রাজ ছাড়া আর কেও জানত না।
রাত বারটার পর রিয়ার বন্ধুরা সবাই তাকে ফোন করল, কেউ বা ম্যাসেজ করল। তাতেও রিয়ার মনটা খুব খারাপ ছিল। আজ শরীরটা ও খুব ভাল ছিল না। বসে বসে নিজের লেখা ডাইরিটাই দেখছিল। এমন সময় রোহণের একটা ম্যাসেজ এল। সাথে সাথে ফোন। কিন্তু রিয়া ফোনটা প্রথমবার ধরল না। কয়েক বার রিং হওয়ার পর ফোনটা ধরল কিন্তু রোহণ চুপ করে রিয়ার আওয়াজ টাই শুনছিল। ফোন টা কেটে গেল।
রিয়া রাজকে ভোরবেলায় ফোন করল তাড়াতাড়ি আসতে ওর খুব শরীর খারাপ লাগছে। রাজ ছুটে এসে দেখল রিয়ার সেন্স নেই । তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেল। রাজ রোহণকে জানাল। রোহণ শুনে আর দেরী করল না। রিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। রোহণ এয়ারপোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে চলে গেল। রাজ রোহণকে দেখে রোহণের হাতে রিয়ার ডাইরিটা তুলে দিল। ডাইরিটা দেখে রোহণ নিজের ভুলটা বুঝতে পারল ও রাজের কাছে মাপ চাইল। ভগবানের কাছে রিয়ার জন্য প্রার্থনা করতে লাগল রিয়া যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।
If Raj had known that he had no hand in the Riya's job, he was silent thinking of Rohan's state of mind...
Rohan wanted Riya to go back to him again but Riya didn't do it. Riya decided she would never return. Rohan will have to come again. Riya's parents were not happy with Riya's behaviour. Only Raj could understand the pain of Riya. Still now Riya share everything with Raj.
However, Riya always took care her father-in-law,mother-in-law and parents. Riya believe one day Rohan will come back. So he waited for Rohan. On the other hand, Rohan was very angry on Riya. Because Riya join job without informing him. Raj could understand the pain of the Riya. So Raj tried to finish their ego by talking to Rohan but to no avail. Raj was very angry with Rohan when he felt Riya's pain.
Two years passed. Rohan returned home for a week to take his parents with him. But his parents refused to go. Raj heard that Rohan had come and he went to meet Rohan. Raj was trying to convince Rohan but Rohan was so angry that he left without meeting Riya. Riya felt very hard to hear this. However, she decided that if Rohan did not return himself, she would not go to Rohan on her own. Meanwhile, Riya's relatives started talking a lot about Riya. But today Riya doesn't care about anything else.
She does whatever she wants. Raj always tries to keep happy Riya. But like every human being, Riya also suffering for her destiny. No matter how much she calculates about her life, nothing can be solved. Where that is wrong she can not decide.
Today is Riya's birthday. Raj had been organising Riya's birthday with the rest of his friends since a week ago. Nowadays, Riya does not get well. But she does not go to doctor. Sometimes Raj forcefully took Riya to doctor for checkup . But she doesn't take medicine properly. After returning from Rohan, Riya had hardly talk with Rohan but she used to write in a diary everything she wanted to say to Rohan before going to bed every night. No one knew that except Raj.
After midnight, everyone surprised Riya by calling and massaging her birthday wishes. Even though she felt very bad. He was sitting and looking at her diary. At that time a message came from Rohan and also a call. But Riya didn't pick up the phone for the first time. After ringing a few times, she picked up the phone but Rohan was silently listening to Riya's sound. After few minutes Rohan cut the phone.
Riya called Raj in the morning to come early, she is feeling very bad. Raj came running and saw that she has no sense. He quickly took her to the hospital. Raj informed Rohan. Rohan was not late to hear. Riya is now fighting with death at the hospital. Rohan went to the hospital from the airport. Raj saw Rohan and he handed over the Riya's diary to Rohan. Seeing the diary, Rohan realised his mistake and asked Raj for forgiveness. Rohan started praying to God for Riya so that Riya would get well soon.
0 Comments
Thanks for comments.