তিন বন্ধুর জীবনের হিসেবের গল্প
ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই মা বাবার হাত ধরে জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। প্রত্যেক মা বাবা তার সন্তানের জন্মের পর থেকেই হিসেব নিকেশ করতে থাকে কি করে ভবিষ্যতে ছেলে মেয়ে জীবনে সুখী হয়ে উঠবে। পৃথিবীতে এমন খুব কম লোক আছে যারা জীবনে কখনো বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে না বা বড় হওয়ার চেষ্টা করে না। সবাই নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করে।
আসলে আমরা সবাই নিজের মত করে জীবনের অঙ্ক মিলানোর চেষ্টা করি। আর এই অঙ্কের হিসেবের কোথাও ভুল হয়ে গেলে আমাদের জীবনে নেমে আসে দুঃখ। অঙ্কের হিসাব যেমন একবার ভুল হয়ে গেলে আবার নূতন করে করতে হয় আমাদের জীবনটা ও ঠিক সেই রকম। জীবনের ক্ষেত্রে হয়ত অতীতে গিয়ে আবার নূতন করে শুরু করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ভবিষ্যতে ভাল থাকার জন্যে বর্তমানে ভাবনা চিন্তা করে নূতন করে জীবনের অঙ্কের হিসেব মিলানোর চেষ্টা করতে পারি।
আজ তিন বন্ধুর জীবনের হিসেবের গল্প---------------------------
রিয়া ও রাজ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একসাথে একেই স্কুলে পড়ত। দুজনের মধ্যে বেশ ভাল বন্ধুত্ব ও ছিল। ওরা দুজন ও জীবনে বড় হওয়ার অনেক স্বপ্ন দেখত। রাজ যেন ছোটবেলা থেকেই রিয়াকে আগলে রাখত। পরীক্ষার আগে দুজনে একসাথে পড়াশোনা করা। ওদের দুজনের বাড়িটাও কাছাকাছি ছিল তাই দুজনই একসাথে স্কুলে যেত ও ফিরত। ওদের বন্ধুত্বের মধ্যে ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ ছিল না। রিয়া যেমন তার সব কিছু শেয়ার করতে পারত। রাজ ও রিয়ার সাথে সব কিছু শেয়ার করতে পারত। একটু বড় হওয়ার পর ওদের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলত কিন্তু রিয়া ও রাজের মা বাবা এসব নিয়ে কিছু ভাবত না। ওরা জানত রিয়া ও রাজ খুব ভাল বন্ধু।
রিয়া ও রাজের জীবনের হিসেবটা ও ছিল অনেক সহজ ও সরল। ওরা দুজনই বড় হয়ে ভাল চাকরি করে মা বাবাকে নিয়ে নিজেদের মত করে সুখে থাকতে চায়। কিন্তু ওদের নিয়তিতে ভবিষ্যতে কি আছে তা তো সৃষ্টিকর্তাই জানেন। দুজনেই মাধ্যমিকে বেশ ভাল রেজাল্ট করলো। আজ স্কুলে একাদশ শ্রেণির ভর্তি চলছে। অন্য স্কুল থেকে অনেক ছাত্ররা ওদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে, রোহণ তাদের মধ্য একজন। আস্তে আস্তে রোহণ, রিয়া ও রাজের ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছে।
তিনজনই দ্বাদশ শ্রেণিতে ভাল রেজাল্ট করে একই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ পায়। রিয়া ছোটবেলা থেকে সব কিছুই রাজকে বলত। তাই রিয়ার যে রোহণকে ভাল লাগত তা বুঝতে বাকি ছিল না। এদিকে রোহণ ও রিয়াকে পছন্দ করত, তবে রোহণ ছিল একটু অন্য ধরনের। রোহণের আচার ব্যবহার, পড়াশুনা সব কিছুই ভাল ছিল, কিন্তু রোহণের জীবনের লক্ষ্যটা ছিল অনেক বড়। যে জীবনে অনেক কিছু করতে চায়। সে শহরের বেশ নামী লোকেদের মধ্য একজন হতে চায়। যেখানে রাজ ও রিয়া একটা ভাল চাকরির ব্যবস্থা করে সারাটা জীবন একটু সুখে কাটাতে চায়।
ওরা তিনজনই পাশ করে নিজেরদের শহরেই চাকরি ও পেয়ে যায়। কিন্তু রোহণ এই চাকরিতে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না।সে আরও বড় চাকরির চেষ্টা করছিল। রিয়ার বাড়ি থেকে রিয়ার মা বাবা এবার রিয়াকে বিয়ের জন্যে চাপ দিচ্ছিল। কারণ মেয়ে পাশ করে চাকরি পেয়ে গেল তাই পাড়া প্রতিবেশীরা অনেক কিছু বলাবলি করছিল। রোহণ তাই ভাবল আগে বিয়েটা করে পরে তারপর চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাববে। রাজ, রিয়া ও রোহণের বিয়ের কথা শুনে কেন জানিনা মন থেকে মানতে পারছিল না। যেদিন রিয়া ও রোহণের বিয়ে ঠিক হল সেই রাতেরাজ ঘুমোতে পারেনি এই ভেবে রিয়া রোহণকে বিয়ে করে সুখী হবে তো? কিন্তু রাজ কিছু বলতে পারল না পাছে তাদের বন্ধুত্ব না খারাপ হয়ে যায়। ............।
English translation
From childhood, our parents teach us to dream of life. Every parent starts calculating after the birth of their child how the son and daughter will be happy in the future. There are very few people in the world who never dream of growing up or try to grow up.
Everyone tries their best. In fact, we all try to match the numbers of life in our own way, and when this calculation goes wrong somewhere, sadness comes down in our life. Our life is just like the calculation of maths. In the case of life, once it is wrong, it may not be possible to go back to the past and start a new, but in order to be better in the future, we can try to calculate the maths of life by thinking anew now.
Today is the story of the life of three friends ---------------------------
Riya and Raj went to the same school together from class six. They are very good friends. They both dreamed of growing up. Raj takes care of Riya from a young age. The two of them studied together before the exam. The house of the two of them was also close so both of them used to go to and from school together. Riya could share everything with Raj and Raj also share everything to Riya. After growing up, many people said a lot about their friendship but Riya and Raj's parents didn't think much about it. They knew Riya and Raj were very good friends.
The calculation of Riya and Raj's life was very simple and straightforward. When they grow up, they want to have a good job and be happy with their parents. But God knows what the future holds for them. Both of them did very well in the Madhyamik exam.
Eleventh class admission is going on in the school today. Many students from other schools have been admitted to their school, Rohan being one of them. Gradually, Rohan, Riya, and Raj have become good friends. All three of them got the opportunity to study in the same engineering college with good results in class XII. Riya used to tell everything to Raj since childhood. So Raj understands that Rohan and Riya liked each other.
But Rohan was a little different. Rohan is very good in study as well as a very well-behaved boy, but Rohan's life goal was much bigger. He wants to do a lot in life. He wants to be one of the most rich people in the city. Where Raj and Riya want a good job and want to spend their whole life happily.
All three of them passed and got jobs in their own cities. But Rohan was not very satisfied with this job. He was trying for a bigger job. Riya's parents were pressuring Riya to get married. Because Riya passed and got a job, Neighbors were talking about why Riya was not getting married. So Rohan thought that he would get married first and then change his job.
When Raj heard about the marriage of Riya and Rohan, he couldn't accept it. But why Raj couldn't accept it Raj also doesn't understand. In which day Riya and Rohan's marriage date was confirmed, that night Raj could not sleep only thinking that, will be Riya happy to marry Rohan? But Raj could not say anything for fear of losing their friendship.
0 Comments
Thanks for comments.