adds

আবার নতুন করে শুরু তৃতীয়-পর্ব

                               আবার নতুন করে শুরু তৃতীয়-পর্ব

তীর্থ মনে মনে কত কি ভেবে রেখেছিল সৃজাকে এত বছর পরে দেখে কত কি বলবে কিন্তু সৃজা তো সেই আগের মত চুপচাপ। হয়ত সৃজা তীর্থকে চিনতেই পারল না। .....
     ত্রিশা তার দাদার মনের অবস্থা বুঝতে পারছিল। তাই ত্রিশা ভাবল সৃজা হয়ত বাড়িতে মা বাবার সামনে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে। তাই ত্রিশা সৃজাকে বলল কাল রবিবার ছুটির দিন বউদিভাই চল কাল আমাদের সাথে, সবাই মিলে ঘুরতে যাব।ত্রিশা সৃজার মা বাবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিল।

পরদিন সকালবেলা ত্রিশা ওরা গাড়ি নিয়ে সৃজার বাড়ির সামনে হাজির হল কিন্তু সৃজা তখন ও ঘুমাচ্ছে। তীর্থ সৃজার ব্যবহারে এবার একটু বিরক্ত হল এই ভেবে যে, যার জন্যে এতদিন ধরে অপেক্ষা করছিল সে তো তীর্থের দিকে ফিরে ও তাকায় না। সৃজার কি এই বিয়েতে সম্মতি নেই, কিছুই বুঝতে পারছে না তীর্থ।

যাইহোক সবাই মিলে গঙ্গার ধারে পিকনিক করতে গেল। তীর্থ চাইছিল সৃজার সাথে তার পুরানো দিনের সব কথা শেয়ার করতে কিন্তু সৃজা সবার সাথে হাসি মজা করলেও তীর্থ কাছে এলে সে চুপ হয়ে যাচ্ছিল। তীর্থ বুঝতে পাড়ছে না সৃজার মত এত স্মার্ট মেয়ে তীর্থকে লজ্জা পাচ্ছে না অন্য কিছু। তীর্থ আগের দিন রাতে সৃজার জন্য একটা শাড়ি কিনেছিল সৃজাকে দিল কিন্তু সৃজা প্রথমে নিতে চাইছিল না শেষে ত্রিশার কথায় শাড়িটা নিতে রাজি হল। তীর্থ আসার সময় সৃজার কাছ থেকে তার ফোন নাম্বারটা নিল। 

তীর্থ ঘুমানোর আগে সৃজাকে ফোন করল কিন্তু সৃজার ফোন টা সাইলেন্ট করাছিল তাই সৃজা ফোনটা ধরতে পারল না। তাতে তীর্থ ভাবল সৃজা হয়ত এই বিয়েতে রাজি নয়। তাই সে সৃজাকে ম্যাসেজ করে লিখে পাঠাল তোমার এই বিয়েতে সম্মতি না থাকলে আমাকে বলতে পার আমি বিয়েটা ভেঙ্গে দেব। তুমি আমার সাথে বিয়ে করতে চাও না তা তোমার মা বাবা জানতে ও পারবে না। আমাকে একটুকু ভরসা করতে পার। 

সৃজা ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোনটা হাতে নিতেই তীর্থের ম্যাসেজটা দেখতে পেল। সৃজা মনে মনে ভাবল এই কি ছেলে রে বাবা একবার ফোন না তুলাতেই এত রাগ কি করে এই ছেলের সাথে ঘর করব। তাও মা বাবার কথা ভেবে সৃজা ও ম্যাসেজ পাঠাল "না এমন কিছু না ফোনটা সাইলেন্ট ছিল তাই ধরতে পারিনি"। 

পরদিন সৃজা অফিসে কাজ করছিল এমন সময় ফোন তীর্থ ফোন করল। সৃজা ফোনটা ধরার সাথে সাথেই বলে উঠল আজ অফিস থেকে ফিরার পথে আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে? তবে আমি ছুটির পর তোমার অফিসের সামনে থাকব। সৃজার আগের দিনের তীর্থের ম্যাসেজটার কথা মনে পরল তাই ইচ্ছে না থাকলেও বাধ্য হয়ে বলল ঠিক আছে তবে বেশি দেরি করতে পারব না মা বাবা চিন্ত করবে। 
                                                          ............ next......
                                  
আবার নতুন করে শুরু তৃতীয়-পর্ব


English 
How much would Tirtho have thought in her mind after seeing Srija after so many years he will talk to her so many things but Srija is as silent as before. Maybe srija don't remember about Tirtho..............................

Trisha could understand her brother's condition of mind. So Trisha thought that Sreeja might be ashamed to speak with Tirtho in front of her parents at home. So Trisha told Sreeja that, tomorrow will be Sunday, so boudibhai, let's go for picnic with us and at that time Trisha took permission from Sreeja's mother.

The next morning Trisha with her brother appeared in front of Sreeja's house in a car but Sreeja was still asleep. Tirtho was annoyed to see the attitude of sreeja, thinking that he had been waiting for so long for sreeja but Sreeja did not care about it. Tirtho does not understand "Is Srija agree to marry with Tirtha?"

However, everyone went for a picnic on the banks of the Ganges. Tirtho wanted to share all the things of her old days with Sreeja but Sreeja was taking with everyone but when Tirtho try to talk with Sreeja she was getting quiet. Tirtho doesn't understand the reason behind it. Such a smart girl like Sreeja is ashamed of Tirtho. Tirtho had bought a saree for Sreeja the night before and gave it to Sreeja but Sreeja did not want to take it at first but finally agreed to take the saree . While returning at home, Tirtho took Sreeja's phone number.

Tirtho called Sreeja before going to sleep but Sreeja's phone was silenced. So Sreeja could not pick up the phone. Tirtho thought that Sreeja might not agree to this marriage. So he texted Sreeja "if you don't agree to marry with me, you can tell me I will break up. Your parents won't know you don't want to marry with me. You can trust me a little."

Before Sreeja went to sleep, she picked up the phone and saw the message of Tirtho. Sreeja thought to herself, "What's wrong with not picking up the phone once, how can I spend my whole life with him." Then Sreeja reply to see his massage, "the phone was silent, so I couldn't received it."

The next day, while Sreeja was working in the office, the phone rang. Sreeja picked up the phone then Tirtho told her, "can you meet me on the way back from the office today? if so then I'll be in front of your office". Sreeja remembered Tirtho's message of the day before, so even though she didn't want to, but she was forced to say ok.

                                                ............ next.............

Post a Comment

0 Comments