adds

Story of an intelligent girl

                                                 Story of an intelligent girl 

(English and Bengali both languages are available)

প্রভা বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। সে পড়াশুনায় যেমন ভালো তেমনি তার আচার ব্যবহার এতটাই ভালো যে তাকে নিয়ে গ্রামের লোকজন ও গর্ব অনুভব করত। প্রভা দেখতে ও খুব সুন্দরী ছিল। তার বাবার ও মেয়েকে নিয়ে গর্বের শেষ ছিল না। প্রভা মেয়ে বলে তার মা বাবার ও কোন দুঃখ ছিল না। 

প্রভাদের বাড়িতে একটা ঘর শুধু তার পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে সাজানো ছিল। প্রভা ছোটবেলা থেকেই ছিল খুব স্বাধীনচেতা। বাবা মা তাকে কোন কিছুতেই বাধা দিতো না। বাবা যখন পত্রিকাতে নারী নির্যাতনের ঘটনা পড়তেন তখন বলতেন আমার মেয়েকে কখনো বিয়ে দেব না আমার মেয়ে আমার কাছে এ থাকবে তবে তাকে কোনদিন অবহেলিত বা অত্যাচারিত হতে হবে না। 

দেখতে দেখতে দীর্ঘ ২২ বছর পেরিয়ে গেল। প্রভা এখন তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে চাকরির জন্যে চেষ্টা করছে। এইদিকে তার পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় সজন এর একটাই চিন্তা মেয়েকে এত পড়ালে ভালো পাত্র পাওয়া যাবে না। মা বাবা ও মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত ওরা না থাকলে মেয়েকে কে দেখবে। শেষে ভালো পাত্র পাওয়া গেল। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে তানবির। সে পড়াশুনা শেষ করে বাবা ও দাদার সাথে তাদের ব্যবসাতে সাহায্য করে। প্রভার মা বাবার তো এমন পাত্রের সন্ধান পেয়ে আনন্দের এর শেষ নাই। আত্মীয় সজন ও খুব খুশি

              তানবিরের বাড়ি থেকে তার বউদি, দাদা,মা, বাবা ও দিদি সবাই প্রভার বাড়ি আসে প্রভাকে দেখতে। প্রভার মা মেয়েকে একটু সেজেগুজে থাকতে বলে। প্রভা বলে আমি বিয়ে করব না, চাকরি করব। প্রভার মা প্রভাকে বলে এত ভালো ছেলে আর পাওয়া যাবে না। তুই তো চাকরির জন্যে অনেক আবেদন করেছিস। পেয়েগেলে বিয়ের পর করবি আশা করি তানবির বাড়ির লোক তোকে বাঁধা দেবেন না। ওরা খুব ভালো লোক। তোকে খুব ভালবাসবে।

 মা মেয়ের কথা শেষ হতে না হতে ই তানবির বাড়ির লোক চলে আসে প্রভাকে দেখতে। ছেলের দিদি ঘরে এত পুরস্কার দেখে প্রভাকে বলে শুধু পড়াশুনা ই করেছ নাকি ঘরের কাজকর্মও জান? এই কথা শুতে প্রভার খুব রাগ ও হয়। তানবিরের বউদি তখন প্রভাকে জড়িয়ে ধরে বলে ঘরের কাজ কি মেয়েদের শিক্ষাতে হয় বল প্রভা। আর  প্রভা কে বলে দিদি এমনভাবে ই কথা বলে কিন্তু মনটা খুব ভালো কিছু মনে করিস না। 

 প্রভার বিয়ে হয়ে গেল। প্রভা এখন শ্বশুর  বাড়িতে । বিয়ের পরপর ই ওরা নেপাল, ভুটান সব ঘুরে এসেছে। বাড়ির সবার সাথে বেশ ভালো সম্পর্কও হয়ে গেছে। সব ঠিকঠাক ই চলছিল। একদিন রাতে তানবি কিছুতেই তার ব্যবসার একটা হিসেব মিলাতে পারছিল না। প্রভা দেখে তানবির কাছ থেকে হিসেবের খাতাটা নিয়ে মিলিয়ে দিল। তানবি কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরল।

 কিছুদিন পর এক বিকেলে তানবি তার বাবা ও দাদা র সাথে বসে ব্যবসার হিসেব করছিল তখন প্রভা তাদের চা দিতে গেল হঠাৎ বলে উঠল এখানে ভুল হয়েছে। এই কথা শুনে তানবির বাবা খুব বিরক্ত হল। তানবিরের বউদি প্রভাকে ডেকে নিয়ে চলে গেল তার ঘরে। প্রভা কে বুঝিয়ে বলল ছেলেদের  ব্যবসার বিষয়ে কিছু বলিস না ওরা পছন্দ করে না। তক্ষনি তানবি এসে বলল বউদি ওকে বলে দাও মেয়েদের সব বেপারে নাক গলাতে নেই। এখন থেকে ওকে একটু তোমার সাথে ঘরের কাজ করতে বল। 

এই কথা শুনে প্রভার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। সে ঘরে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে। হঠাৎ মোবাইল দেখতে দেখতে একটা ম্যাসেজ আসে সে খুলে  দেখতে পায় একটা চাকরির (interview)  ডাক এসেছে। খুব ভালো চাকরি। তা দেখে তার যে কি আনন্দ। সে চাকরির ব্যপারে কাউকে কিছু বলল না। পরদিন শাশুড়িকে  বলল আমি একটু বাজারে যাব।শাশুড়ি অনুমতি দিয়ে দিল। 

দুদিন পর ফোন এলো তার চাকরিটা পাকাপাকি ভাবে হয়ে গেল। কাল এ তাকে চাকরি তে যোগ দিতে হবে। প্রভা সঙ্গে সঙ্গে তানবি কে বলল আমি এই শহরে একটা ভালো চাকরি পেয়ে গেছি কাল থেকে join করতে হবে। এই কথা শুনে তানবি তার মার কাছে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে তার মা শুনে  বলে আমাদের বাড়ির বউরা চাকরি করে না। তা দেখে প্রভা কাঁদতে শুরু করে। তানবির বউদি তখন প্রভাকে তার ঘরে এনে অনেক সান্ত্বনা দেয়। 

কিন্তু প্রভা কিছু শুনতে চায় না। বউদি তখন বলে ঠিক আছে চাকরি করিস এখন চল আমার সাথে তোকে আমার বাবার
বাড়ি নিয়ে যাব। দুজন এ মিলে সেখানে গেল। বড় বউ এর  মাবাবা তাকে দেখে তো কি খুশি। ওরা প্রভা কে দেখে ও খুব খুশি হল। বউদি যে ঘরে থাকত সেই ঘরে প্রভাকে নিয়ে গেল। সেই ঘরটি ও নানা পুরস্কার দিয়ে সাজানো ছিল। বউদির কত সুন্দর সুন্দর নাচের ছবি। 
এমন সময় বউদির মা এসে প্রভাকে বলল আমার মেয়ের গুনের অভাব ছিল না কিন্তু নিজের দোষে  আজ সব শেষ হয়ে গেল। তাও ঠাকুরকে বলি সে যেন সুখী থাকে। প্রভা বউদির দিকে তাকিয়ে থেকে আবার কাঁদতে থাকে। প্রভা আমাদের মেয়েদের জীবনটাই এমন যখন যেখানে থাকবি নিজেকে সেখানকার মতো করে মানিয়ে চলতে হয়। আমাদের কিছু করার থাকে না।

  জানিস বিয়ের আগে আমি ভাবতাম তোর দাদা আমাকে চাকরি করতে দেবে কিন্তু বিয়ের পর যখন আত্মীয় সজনরা বলতে লাগলো এত বড় বাড়ির বউ চাকরি করে নাকি তোর দাদা আমার চাকরিটা ছাড়িয়ে দিল। আমার ও খুব রাগ হয়েছিল। তোর দাদার সাথে অনেক ঝগড়া ও হয়েছে কিছু দিনের জন্য বাপের বাড়ি ও চলে এসেছিলাম কিন্ত আশেপাশে লোকজন এত বাজে কথা বলতে শুরু করল বাধ্য হয়ে আমি আবার ফিরে গেলাম। 
একটা কথা কি জানিস তো আমাদের সমাজ মেয়েদের নিয়ে গর্ব করে ঠিক ই। কিন্ত তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে কেউ সাহায্য করে না। তোর বিয়ের সময় জানিস আমি ভাবছিলাম আবার আর একটা জীবন আমার মতো শেষ হয়ে যাবে। তবে আমি ভেবেছিলাম তুই সব জেনেই বিয়ে করছিস। 
             প্রভা একটু চুপ থেকে বলল দিদি আমি ঠিক করে নিয়েছি যা হবে পরে দেখা যাবে আমি আমার ২২ বছরের এত কষ্ট ও সাধনা সব শেষ হতে দিতে পারি না। আমি আর তানবির কাছে ফিরব না। আমি অফিস থেকে থাকার জায়গা , গাড়ি সব পাবো। আমি নিজের মতো করে একা থাকব। কারন আমি জানি আমি বাবার কাছে ফিরে গেলে তাদের ও কষ্টের শেষ থাকবেনা। 
                                     
Story of a intelligent girl


জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনও মিলেনা, কিছু কিছু ভুল থাকে যা শোধরানো যায়না, আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউকে বলা যায়না।                     

                                                     

In English  -

         Prabha is the only darling child of the parents. She is good at studying as well as using her manners. She was so good that the villagers felt proud of her. Prabha was very beautiful to look at. There was no end to her pride in her father. Prabha says that her parents did not have any grief for her.  room in Prabha's house was just decorated with various prizes she got.  Prabha was very independent of her childhood. Her parents would not stop her to do anything. 

When her father used to read about the abuse of women in the newspapers, he used to say that he would never give his daughter's hand in marriage. His daughter will stay with them, then she will never be neglected or oppressed. 22 years have passed. 

Prabha is now trying to get a job after completing her postgraduate degree. On the other hand, the only thought of her neighbor is that if she reads so much being a girl, she will not get a good groom. If the parents are not worried about the future of their daughter, who will see her? In the end, a good groom was found.
 
Tanbir is the son of an aristocratic family. After finishing his studies, he joins in their family business. Prabha's parents are overjoyed to find such a groom. Relatives are also very happy.  From Tanbi's house, his aunt, grandfather, mother, father, and sister all came to Prabha's house to see Prabha.

 Prabha's mother tells her daughter to get ready. Prabha says She will not marryPrabha's mother tells Prabha that such a good boy will never be found again. You have applied for a job. If you get it, you will do it after marriage.  I hope Tanbir's parents will not stop you. They are very good people.

   As soon as the mother and daughter finished talking, Tanvir's family members came to see Prabha. Seeing so many prizes in Prabha's house, Tanbi’s elder sister said to Prabha did you just study or do you also know the housework? Prabha is very angry at this. 

Tanbir's sister-in-law then hugged Prabha and told her that Didi talks this way but doesn't feel bad.  Prabha got married. Prabha is now at her father-in-law's house. After the marriage, they all visited Nepal and Bhutan. There is a good relationship with everyone in the house. Everything was going well. 

One night Tanbi could not get a calculation of his business. Seeing  this Prabha took the book from
 Tanbi and solve it. Tanbi fell asleep without saying anything. One afternoon, Tanbi was sitting with his father and brother a few days later,  calculating the business paper, when Prabha went to give them tea, and suddenly said that something was wrong. Tanbi's father was very upset to hear this. 

Tanbi's sister-in-law called Prabha and took her to her room. Prabha explained that the boys do not like to say anything about their business. Then Tanbi came and said, "Boudi, tell her that the girls don't have to sniff at everything. Ask her to do some household work with you. Hearing this, Prabha became very upset. She goes home and sits quietly. Suddenly she sees a message on her mobile phone and she opens it and sees a job call (interview). What a joy to see that.


 She didn't tell anyone about the job. The next day she told her mother-in-law that she would go to the market.  The mother-in-law gave permission. But she does not go to the market she joins her interview. Two days later the phone rang and her job was done. She will have to join the job tomorrow. Prabha immediately told Tanbi that I have got a good job in this city and I have to join from tomorrow.

On hearing this, Tanbi went to her mother and started shouting. Seeing that, Prabha started crying.
 Tanbi's sister-in-law then brought Prabha to her house and gave her a lot of comforts. But Prabha doesn't want to hear anything. prabha's sister-in-law then said, "Okay, do a job.   

Now let's take you to my father's house with me." The two went there together. Sister-in-law's parents were happy to see her. Boudi took Prabha to the house. where she lived. That house was decorated with various prizes. What a beautiful dance picture of her (sister-in-law). At that time sister-in-law's mother came and told Prabha that my daughter was not lacking any quality but it was all her fault today. She also prayed to God that she is happy always. Prabha looked at her sister-in-law and started crying again. 

   Prabha, the life of our girls is such that we have to adapt ourselves wherever we are. We can't do anything for ourselves.  you know, before marriage, I thought your brother-in-law would let me do a job,  but after the marriage, when the relatives began saying that the wife of such a big house is working?   Then your brother-in-law didn't let me do the job anymore. I was also very angry.  I had a lot of quarrels with your brother-in-law and I went to my father's house for a few days but the people around started talking so badly that I was forced to go. 

Do you know, our society is proud of girls. But no one helps them move forward. You know at the time of your marriage I thought your life would end like me.  I thought you were getting married knowing that you would not have the independence to do what you want. Prabha said quietly, "Didi, I have decided that I can't let my 22 years of hard work having a pursuit end." I will not return to Tanvi. I'll get a place to stay and a car from my office, I will be staying alone myself. Because I know that when I go back to my father,  there will be suffering for me.


Some questions in life are never answered, some mistakes cannot be corrected, and some problems cannot be told to anyone.



 

   




Post a Comment

6 Comments

  1. If you interested to read another story please comment

    ReplyDelete
    Replies
    1. Darun tomar lakhha tomar to darun gun achhe go

      Delete
    2. thank you. Today I will published another topic please read.

      Delete
  2. Thank you for giving us such a nice story

    ReplyDelete
  3. Very true and the story show the patriarchal angle of society well written

    ReplyDelete

Thanks for comments.